আমাদের মাদরাসা সম্পর্কে কিছু কথা

আল্লাহ তায়ালার প্রিয় হাবিব সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব মানবতার মুক্তির দিশারী হযরত মুহাম্মদ সা. এর উপর প্রথম ওহি অবতীর্ণ হয় ‘ইকরা’ পড়। হুজুর সা. এরশাদ করেছেন নর-নারী সকলের উপর ইলমে দ্বীন শিক্ষা করা ফরজ। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে বর্তমানে আমাদের দেশে সিংহভাগ মানুষই সেই শিক্ষা থেকে বঞ্চিত। বিশেষ করে মা-বোনদের মধ্যে দ্বীনি শিক্ষার প্রচলন খুবই কম। বর্তমান অপসংস্কৃতির যুগে অবহেলিত নারীসমাজকে মুক্তির লক্ষ্যে মা খাদিজাতুল কুবরা রা. ও মা আয়েশা রা. এর মতো আদর্শ মা হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে দেশের খ্যাতনামা উলামায়ে কেরাম, সচেতন দ্বীন দরদী ও বুদ্ধিজীবি ব্যক্তিবর্গের পরামর্শে মৌলভীবাজার জেলার সদর উপজেলাধীন ১২ নং গিয়াসনগর ইউনিয়নের অন্তর্গত মোহাম্মদপুর প্রামে বিগত ৩রা চৈত্র ১৪০৯ বাংলা মোতাবেক ১৭ই মার্চ ২০০৩ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয় আনওয়ারা বেগম মহিলা টাইটেল মাদরাসা মোহাম্মদপুর।

আল্লাহ তায়ালা যেন এই প্রতিষ্ঠানকে মিল্লাতে ইসলামিয়ার অবহেলিত নারীসমাজকে ইলমে দ্বীনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য কবুল করেন এবং আমাদের সকলের জন্য নাজাতের উসিলা বানিয়ে দেন। আমিন।

উদ্দেশ্য :
আল্লাহ প্রদত্ত ইলম অর্জনের মাধ্যমে আল্লাহ তা’য়ালার সন্তুষ্টি অর্জন।

লক্ষ্য :
(ক) মহিলাদের মধ্যে ইসলামী শিক্ষার সম্প্রসারণ ও বাস্তবায়ন।
(খ) পবিত্র কুরআন শিক্ষার ব্যাপক প্রচলন।
(গ) মহিলাদের শরয়ি পর্দায় উদ্ধুদ্ধকরণ।
(ঘ) কুরআন-সুন্নাহের আলোকে জীবন গড়ার প্রশিক্ষণ।
(ঙ) নিরক্ষরতা দূরীকরণ।
(চ) দেশের আর্ত সামাজিক উন্নয়ন ও ইসলামী মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠায় অবদান রাখা।
(ছ) মেয়েদের জন্য শরিয়তসম্মত পর্দার সাথে পৃথক ও সংরক্ষিত এলাকায় দ্বীনি শিক্ষার ব্যবস্থা করা।

সামাজিক উন্নয়ন :
(ক) এলাকার মহিলাদেরকে প্রতি সপ্তাহে মাদরাসা বা অন্য কোন স্থানে জমায়েত করে দ্বীনি বিষয়ে আলোচনা করা। বিশুদ্ধভাবে কুরআন শিক্ষা, নামাজ ও মাসায়েল শিক্ষাদান এবং মহিলাদের সমস্যা জেনে সমাধানের চেষ্টা কর।
(খ) অসচ্ছল, ইয়াতিম, বিধাব ও বয়োবৃদ্ধ নারী-পুরুষের অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান ও চিকিৎসা দানের ব্যবস্থা এবং সেবামূলক কাজ পরিচালনা করার জন্য একটি কল্যাণ-ফান্ড গড়ে তোলা। যার উৎস হবে যাকাত, সদকা, কুরবানির চামড়া, দান-খয়রাত বা এককালীন চাঁদা।
(গ) সমাজের প্রতিটি মানুষকে কুরআন সুন্নাহের অনুসারী হিসেবে এবং প্রতিটি পরিবারকে ইসলামের দূর্গ হিসেবে গড়ে তোলা।

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা :
১/ ইফতা বিভাগ ২/ আরবি সাহিত্য বিভাগ ৩/ হিফজুর কুরআন বিভাগ
মহিলাদের ফিকহ শাস্ত্রে উচ্চতর শিক্ষার জন্য ইফতা বিভাগ, আরবী সাহিত্যে উচ্চতর শিক্ষার জন্য আদব বিভাগ, কুরআনের হাফেজা হওয়ার জন্য হিফজুল কুরআন বিভাগ চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে।
এছাড়া কারিগরি শিক্ষার ক্ষেত্রে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ, সেলাই প্রশিক্ষন কোর্সসহ বহুমুখী টেকনিক্যাল ও কারিগরি বিভাগ চালু করার পরিকল্পনা আছে।